বিয়ের বয়স আইন ২০১৯
যারা বিয়ের কথা ভাবছেন, বিয়ে করার আগেই আইনগুলো জেনে নিন
বিয়ে করার জন্য বর ও কনে পক্ষ উভয়ের জন্যই দেশের প্রচলিত আইন গুলো জানা অতিব গুরুত্বপূর্ন
_বিয়ের উপযুক্ত বয়স সম্পর্কে আইনে বর্নিত আছে যে,
পাত্রের বয়স ২১ হতে হবে
পাত্রীর বয়স ১৮ হতে হবে
এর কম হলে বাল্য বিয়ে হিসেবে ধরা হবে, যা বে আইনি
_বিয়ের সময় একপক্ষ প্রস্তাব দিবে, অন্য পক্ষ সে প্রস্তাব গ্রহন করবে।
_ বিয়ের সময় দুজন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে। বিয়ের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক ২ জন পুরুষ অথবা ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে।
_ বিয়ের সময় পাত্র ও পাত্রী উভইয়েরই ‘কবুল ‘ বলা শব্দটি স্পষ্ট ভাবে উচ্চারিত হতে হবে।
উভই তা কোনো রকম চাপ,বলপ্রয়োগ ও প্ররোচনা ছাড়া স্বেচ্ছায় বলবে।
_ বিবাহের সময় একই বৈঠকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়া ও গ্রহন করা হতে হবে।
_ মুসলিম আইন অনুযায়ী পাত্র বা পাত্রী কারো জন্যই ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্টান আয়োজন করা বাধ্যতামূলক নয়।
_ কাবিন নামায় স্বামী ও স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনীয় শর্তগুলো উল্যেখ থাকবে।
_ কাবিন নামায় স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের তালাকের অধিকার রাখা হয়েছে।
_বিবাহের জন্য পাত্র ও পাত্রীর সামাজিক ,আর্থিক সঙ্গতি ও শিক্ষাগত মর্যাদা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে বিবাহের দেনমোহরের পরিমান নির্দিষ্ট করতে হবে।
_ বিবাহের প্রমান কাগজে – কলমে লিখে রাখাই হলো বিবাহ রেজিস্টেশন যা কাজি অফিসে সংরক্ষিত থাকে। এটি সরকার দ্বারা নির্ধারিত ফরমে লিখিত থাকে যা বিয়ে সংক্রান্ত দলিল হিসাবে বিবাচিত হয়।
সাধারণত যেকোনো ওয়ার্ড, পৌরসভায় কাজী অফিস থাকেই।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা, ২০০৯-এর ২১ বিধি অনুযায়ী
__বিয়ের মোহরানায় কাজীর জন্য নির্ধারন করা ফি হাজারে সাড়ে বার টাকা
একজন নিকাহ বা বিবাহ রেজিস্টার যিনি ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে
__প্রতি ১ হাজার টাকায় ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে
__দেনমোহরের পরিমাণ যাই হোক সর্বনিম্ন ফি নির্ধারন ২০০ টাকার কম হবে না
দেনমোহরের পরিমাণ ৪ লক্ষাধিক হলে পরবর্তী যে হারে টাকা দিতে হবে
__ প্রতি ১ লাখ টাকা দেনমোহরের জন্য ১০০ টাকা
বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন
__তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি গ্রহণ করতে পারবেন একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার
__নকল প্রাপ্তি ফি ৫০ টাকা,
__যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটার ফি ১০ টাকা ও
__ তল্লাশি ফি ১০ টাকা
গ্রহণ করতে পারবেন
__বিয়ের নিবন্ধন ফি বর বা পাত্রপক্ষ কর্তৃক পরিশোধ করতে হবে
এবং
__তালাকের ক্ষেত্রে যে পক্ষের উদ্যোগে (অর্থাৎ যিনি তালাক প্রদান করিবেন )তালাক নিবন্ধন করা হবে সে পক্ষ কর্তৃক এই নির্ধাতির ফি পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব বরপক্ষের। সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ফি পরিবর্তন ও ধার্য্ করে থাকে
_ বিবাহ নিবন্ধন না করলে তার জন্য শাস্তি হিসাবে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
এটি মুসলিম বিবাহ আইন ও তালাক নিবন্ধন আইন ,১৯৭৪- এর ধারা -৫(৪) অনুসারে।
_ বিবাহ নিবন্ধন আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো শব্দ নেই। এমন বিয়ের কোনো বৈধতাও নেই, এটি বিয়ের ঘোসনা মাত্র।
এই রকমের বিবাহ যখন একে অপরকে ভালোবেসে গোপনে বিবাহ করে তখন সাধারনত এই রকমের করে থাকে।আসলে কোর্টে কোর্ট ম্যারেজ হয়না।